নিজেকে জানো
যৌবনকাল কত দিন? ১৫-৩৫(maximum)!
মাত্র বিশ বছর!
এই বয়সেই তো মজা করার সময়!এই বয়সে
না করলে কখন!(মেয়েদের সাথে
ফ্লার্ট, অবৈধ সম্পর্কে জড়ানো,মদ্যপান
করা,রাতের বেলা ঘোরাঘুরি,খারাপ
কাজে অর্থ ব্যয়,জুয়া খেলা,নোংরা
ভিডিও দেখা,গালাগালি করে আনন্দ
প্রকাশ করা,অন্যকে ছোট করে মজা
করা,গান শোনা,ক্ষমতা দেখিয়ে খুশি
হওয়া,ইত্যাদি।)
.
এই বয়সে পর্দা করা জরুরী না!বিয়ে
হোক,বাচ্চা হোক,বয়স হোক,তখন পর্দা
ঠিক আছে!এরকম ভুতের মত পর্দা করলে
মানুষ গুরুত্ব দেয় না।নানী-দাদী মনে
করে!
.
এই বয়সে দাড়ি? এই ছেলে তোমার বয়স
কত? ভুতে ধরছে নাকি? এখনও বিয়েই হল
না ,আর এখনই এত লম্বা দাড়ি! কোন
মেয়ে বিয়ে করবে না,বুঝলে? এখনও সময়
আছে এসব বাদ দিয়ে আধুনিক হও!
.
এই বয়সে মেয়েরা সুন্দর সুন্দর পোষাকে
ঘুরে বেড়াবে,কতই না সুন্দর দেখাবে!
এই সুন্দর চেহারা দেখে ছেলেপক্ষরা
প্রস্তাব পাঠাতে পাঠাতে ক্লান্ত
হয়ে যাবে! কতই না গর্বের বিষয়!
আমরা কি জানি না যে, যৌবনকালের
হিসাব আলাদাভাবে নেওয়া হবে?
অবশ্যই আমরা জানি।
বৃদ্ধ বয়সে গিয়ে,যখন জীবন মূল্যহীন তখনই
আল্লাহর আদেশ মেনে চলব? আর জেনে-
বুঝে পাপের বোঝা ভারী করেই চলব?
অতঃপর তওবা !
বেহেশতে যাওয়া এতই সহজ?নবী-
রাসূল,সাহাবীগণ ও অনেক মানুষ
যাদেরকে আল্লাহ সম্মানীত
করেছেন,পুরষ্কৃত করেছেন,তারা অনেক
পরিক্ষার পর ,অনেক কষ্ট সহ্য করে
বেহেশত পেয়েছেন।আল্লাহর জন্য কত
মেহনত করেও ভয় পেত জান্নাতে
যাবে কি না?
আর আমরা আকাশ সমান গুনাহ করতে
থাকি আর বলতে থাকি,আরও কিছু সময়
যাক তারপর তওবা করে আল্লাহর পথে
ফিরে আসব,একটু বয়স হোক তারপর
দাড়ি,একটু বয়স হোক তারপর
পর্দা,একেবারে হজ্ব করে সব
ছাড়ব,ইত্যাদি।
আমরা কিভাবে নিশ্চিত হলাম
যে,আমরা আরও কিছু সময় পর্যন্ত বেঁচে
থাকব?সত্যি এই যে ,আমরা কেউই
জানিনা কখন আমরা মালাকুল মউত(মৃত্যুর
ফেরেশতা) এর মুখোমুখি হব! তাহলে ?
এই বয়স,ঐ বয়স বলে আল্লাহর থেকে দূরে
থেকে শুধুই নিজের সাথে
ধোকাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়।
আল্লাহ তা 'আলা বলেন ........
পার্থিব জীবন ক্রীড়া ও কৌতুক ব্যতীত কিছুই নয়। পরকালের আবাস পরহেযগারদের জন্যে শ্রেষ্টতর। তোমরা কি বুঝ না ?
সূরা আল আন -আম:৩২
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন