দৈনিক হাঁটার পরিমাণ বাড়াবেন যেভাবে
শারীরিক ফিটনেসের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ১০.০০০ কদম হাঁটার কথা বলা হয়, যদিও এর কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। তবে গবেষকেরা একমত হয়েছেন যে, বেশি হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা দেখেছেন যে, দাঁড়িয়ে বা বসে থাকার চেয়ে ৩ গুণ বেশি ক্যালরি পুড়ে মাত্র ১৫ মিনিট হাঁটায়। শুধু এটাই নয় হাঁটার আরো অনেক গুনাগুণ আছে যা আমরা জানিনা।
১। কাজ থেকে বিরতি নিন
ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকগণ জানিয়েছন, ঘরের ভেতরে বা বাহিরে হাঁটাহাঁটি করলে তা সৃজনশীলতার উন্নতিতে সাহায্য করে। তারা সৃজনশীলতাকে পরিমাপের জন্য গঠনমূলক চিন্তাভাবনা অথবা সমস্যার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সমাধানকে গুরুত্ব দেন। তারা অংশগ্রহণকারীদের প্রদত্ত লক্ষ্যবস্তুর ব্যবহারের বিষয়ে বিকল্প চিন্তা করার জন্য বলেন ঘরের ভেতরে ট্রেডমিলের ভেতরে হাঁটার সময়ে, বসে থাকার সময়ে, বাহিরে হাঁটার সময়ে অথবা হুইলচেয়ারে বসে থাকার সময়ে। সৃজনশীল আউটপুট বৃদ্ধি পায় গড়ে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত যখন অংশগ্রহণকারীরা হাঁটার সময় মস্তিষ্ককে কাজে লাগান। তাই ফোনে কথা বলার সময়ও হাঁটুন।
২। সিঁড়ি ব্যবহার করুন এস্কেলেটর ব্যবহার করা থেকেও বিরত থাকুন।
৩। বাগানের কাজ করুন
আপনার বাড়ির আঙ্গিনায় বা বাগানে হাঁটাহাঁটি করুন এবং আগাছাগুলো নিজেই পরিষ্কার করে নিন। প্রতিদিন কিছুটা সময় আপনার বাগানের যত্ন নিন। আরকানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা দেখেছেন যে, ৫০ বা তার বেশি বয়সের যে নারীরা যারা অন্য ব্যায়াম যেমন- জগিং বা এরোবিকস করেন তাদের তুলনায় যে নারীরা সপ্তাহে অন্তত ১ দিন বাগানে কাজ করেন তাদের হাড়ের ঘনত্ব বেশি থাকে।
৪। লাঞ্চ ব্রেক নিন
অফিসে মধ্যাহ্নভোজের সময়ও কাজ করার অভ্যাস অনেকের মধ্যেই থাকে। এই অভ্যাসটাকে বদলে ফেলাই হবে আপনার জন্য স্বাস্থ্যকর। এর ফলে আপনার কিছুটা হাঁটাও হবে।
৫। গাড়ী পার্কিং এর স্থানটি বদলে ফেলুন
আপনার কাজের স্থান থেকে কিছুটা দূরবর্তী স্থানে আপনার গাড়ীটি পার্ক করে রাখুন। এর ফলে কাজে যাওয়া ও আসা উভয় সময়ই আপনার কিছুটা হাঁটা হবে। যদি বাস বা ট্রেনে যাতায়াত করেন তাহলে বাসার কাছাকাছি স্থানের স্টপেজে না নেমে কিছুটা দূরে নামুন, যাতে হেঁটে বাসায় যেতে পারেন।
৬। দ্রুত হাঁটুন
যত দ্রুত হাঁটবেন তত আপনার ক্যালোরি পুড়বে। আপনি হাঁটার সময় যেন আপনার নিঃশ্বাসের শব্দ শুনতে পান এভাবে হাঁটুন। হাঁটার সময় হাত দুটো নাড়াতে থাকুন। দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে এভাবে হাঁটার চেষ্টা করুন।
৭। প্রতিদিন ৩০০ কদম হাঁটুন
প্রথমেই ১০,০০০ কদম হাঁটার লক্ষমাত্রা অর্জন করা সম্ভব নয়। অন্য ব্যায়ামের মতোই আপনাকে হাঁটার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে আস্তে আস্তে। তাই প্রথমেই প্রতিদিন ৩০০ কদম স্থির করুন। কয় কদম হাঁটলেন তার হিসাব রাখুন, এতে হাঁটার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন