বিসিএস_প্রস্তুতিঃ কম্পিউটারের অঙ্গসংগঠন ও পেরিফেরালস


সাধারণত কম্পিউটার সিস্টেমের প্রধান অংশ থাকে – ২টি।
কম্পিউটার সিস্টেমের প্রধান কাজ – ৪টি।
IPOS Cycle এ থাকে – Input, Processing, Output, Storage.
কম্পিউটারে সিস্টেম হলো – কতহগুলো ইন্টিগ্রেটেড উপাদানের সম্মিলিত প্রয়াস।
কম্পিউটারের বাহ্যিক অবকাঠামো তৈরির জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র সামগ্রীকে বলে – হার্ডওয়্যার।
কোনো কম্পিউটার ব্যবস্থায় সকল ভৌত যন্ত্রপাতি ও ডিভাইস, কীবোর্ড, প্রিন্টার, মনিটর ইত্যাদিকে একত্রে বলে – হার্ডওয়্যার বা যান্ত্রিক সরঞ্জাম।
হাত দিয়ে স্পর্শ করা যায় – হার্ডওয়্যার।
হার্ডওয়্যার প্রাথমিকভাবে বিভক্ত – তিন ভাগ।
ইনপুট ডিভাইসের উদাহরণ – Keyboard, Mouse, Scanner, Joystick, Disk, Card Reader, Microphone, Digital Camera.
অাউটপুট ডিভাইসের উদাহরণ – Monitor, Printer, Plotter, Speaker
কম্পিউটারের সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার এর সম্মিলিত রূপ ROM-BIOS কে বলে – ফার্মওয়্যার।
সফটওয়্যার বলতে বুঝায় – কোনো নির্দিষ্ট কম্পিউটারের সকল ধরণের প্রোগ্রামকে।
কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও ব্যবহারকারীর মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে হার্ডওয়্যারকে কার্যক্ষম করে – সফটওয়্যার।
বর্তমানে কম্পিউটার সিস্টেমের সবচেয়ে ব্যয়বহুল অংশ – সফটওয়্যার।
সফটওয়্যার – দুই ধরণের। যথা: সিস্টেম সফটওয়্যার ও অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার।
অ্যারিথমেথিক লজিক ইউনিট, কন্ট্রোল ইউনিট ও মেমোরিকে একত্রে বলা হয় – সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট।

ইনপুট ইউনিট :

কম্পিউটারের সাহায্যে কোন কাজ সম্পন্ন করার জন্য প্রথমে কম্পিউটারকে ঐ কাজের তথ্য প্রতান করতে হয়, কম্পিউটার দেয়া এ তথ্যই হচ্ছে – ইনপুট।
কম্পিউটারে ইনপুট প্রদানের জন্য অনেক রকম যন্ত্র ব্যবহার করা হয়, এসব যন্ত্রকে বলা হয় – ইনপুট ডিভাইস।
ইনপুট ডিভাইস – ডেটা ও কন্সট্রাকশন গ্রহণ করে।
কী বোর্ড :
বর্তমানে প্রচলিত কীবোর্ডগুলোতে কী থাকে – ১০৫ টি।
কী বোর্ডকে বলা হয় – Console
কী বোর্ড হলো – একটি ধীরগতির ইনপুট ব্যবস্থা।
কী বোর্ডে কী এর ধরণগুলো হলো – ফাংশন কী, অালফা নিউমেরিক কী, নিউমেরিক কী, মডিফায়ার কী, কার্সর মুভমেন্ট কী।
কী বোর্ডে ফাংশন কী রয়েছে – ১২ টি।
তথ্য সংযোজন, বিয়োজন বা নির্দেশ প্রদানের জন্য ব্যবহার করা হয় – ফাংশন কী।
কী বোর্ডের যে অংশ টাইপ রাইটারের মতো বর্ণ এবং নম্বর দিয়ে সাজানো থাকে, সেই অংশকে বলে – অালফা নিউমেরিক কী।
কী বোর্ডে সংখ্যাসূচক কী রয়েছে -১৭ টি।
কী বোর্ডে মডিফায়ার কীগুলো হলো – শিফট, অপশন, কমান্ড, কন্ট্রোল, অল্টার।
কী বোর্ডে কার্সর মুভমেন্ট কী থাকে – ৪ টি।
সাধারণ কী বিন্যাসকে বলা হয় – QWERTY
কী বোর্ড প্রত্যেকটি কী’র অনন্য কোর্ড অাছে যাকে বলা হয় - স্ক্যান কোড।

মাউস :

মাউস অাবিষ্কার করেন – ডগলাস এঞ্জবার্ট মার্ডস (১৯৬৩ সালে)
মাউস সর্বপ্রথম ব্যবহৃত হয় – মেকিস্টোস কম্পিউটারে (১৯৮৪ সালে)
মাউস হলো – হাত দিয়ে নিয়ন্ত্রিত ইঁদুর সদৃশ একটি পয়েন্টিং ডিভাইস।
কোন ছবি, অাইকন বা উইন্ডোকে সিলেক্ট করে মাউসের বাম বাটন চেপে ধরে টেনে অানাকে বলা হয় – ড্র্যাগ বা ড্র্যাগিং।

স্ক্যানার :

স্ক্যানার হলো – একটি অাধুনিকতম ইনপুট যন্ত্র।
স্ক্যানারের সাহায্যে – ছবি, লেখা ইত্যাদি সরাসরি কম্পিউটারে প্রেরণ করা হয়।
অামাদের দেশে যে সকল স্ক্যানার ব্যবহার করা হয় সাধারণত পরিচিত – ফ্লাটব্লেড অপটিক্যাল স্ক্যানার হিসেবে।
লাইটপেন :

লাইটপেন দেখতে – অনেকটা কলমের মতো, এজন্য এটির নাম দেয়া হয়েছে লাইট পেন।

গ্রাফিক্স ট্যাবলেট :

গ্রাফিক্স ট্যবলেট হলো – কার্যত মাউসের বিকল্পযন্ত্র।
গ্রাফিক্স ট্যাবলেট দেখতে – অনেকটা পেন্সিলের সিলেটের মতো।

ওয়েবক্যাম :

ওয়েবক্যাম হলো – একটি ভিডিও ক্যামেরা, যা কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে – রিয়েল টাইম ইমেজ বা ভিডিও অাদান প্রদান করে।
ওয়েবক্যাম এর মাধ্যমে – ইন্টারনেটে ভিডিও চ্যাটিং করা যায়।

জয়স্টিক :

জয়স্টিক হলো – অায়াতাকার বেসের উপর বসানো একটি দণ্ড।
জয়স্টিকের সাহায্যে কার্সরকে পর্দার উপর ইচ্ছামতো যে কোন জায়গায় সরানো যায়।
সেন্সর :
সেন্সর হলো – এমন এক ধরণের ডিভাইস যা কোনো সাংকেতকে চিহ্নিত করতে পারে।
সেন্সর গুলো – এক ধরণের ট্রান্সডিউসার।
সেন্সর এর উদাহরণগুলো হলো – লাইট সেন্সর, সাউন্ড সেন্সর, হিট সেন্সর, বায়োমেট্রিক টাইম ব্লক সেন্সর।

ওএমঅার :

OMR এর পূর্ণরূপ – Optical Mark Reader/Recognition
ওএমঅার হলো – এমন একটি যন্ত্র যা পেন্সিল বা কালির দাগ কুঝতে পারে।
পেন্সিলের দাগ বোঝা যায় – পেন্সিলের সীসের উপাদান গ্রাফাইটের বৈদ্যুতিক পরিবাহিতা বিচার করে।
কালির দাগ বোঝা যায় – কালির দাগের অালোর প্রতিফলন বিচার করে।
ওএমঅার ব্যবহার করা হয় – অবজেকটিভ প্রশ্নের উত্তরপত্র পরীক্ষা, বাজার সমীক্ষা জনগণনা ইত্যাদি কাজে।

ওসিঅার :

OCR এর পূর্ণরূপ – Optical Character Recognition
ওসিঅার দ্বারা – শুধু দাগই বোঝে না বিভিন্ন পার্থক্যও বুঝতে পারে।
ওসিঅার ব্যবহৃত হয় – চিঠির পিন কোড, ইলেকট্রিক বিল, ইন্সুরেন্স প্রিমিয়াম নোটিশ ইত্যাদি পড়ার জন্য।
বারকোড রিডার :
বারকোড রিডার হলো – একটি অপটিক্যাল ইনপুট ডিভাইস।
বারকোড বলতে – কমবেশি চাওড়া বিশিষ্ট পর্যায়ক্রমে কতগুলো বার বা রেখার সমাহারকে বোঝায়।
বারকোডকে বলা হয় – ইউভার্সাল পোডাক্ট কোড।
ডিজিটাইজার :
ডিজিটাইজারে একটি অায়তাকার চ্যাপটা ব্লক থাকে, যাকে বলা হয় – ডিজিটাইজার।
ডিজিটাইজারের সাহায্যে কম্পিউটারে ইনপুট দেয়া যায় – বিভিন্ন গ্রাফ, ম্যাপ, বাড়ির নকশা।
বাংলাদেশ ভূমি জরিপ অধিদপ্তর তাদের মৌজাগুলোকে সংরক্ষণ ও সম্পাদনা করেছে – ডিজিটাইজার ব্যবহার করে।
ম্যাগনেটিক ইংক ক্যারেক্টার রিডার :
MICR এর পূর্ণাঙ্গ রূপ -Magnetic Ink Character Reader
ব্যাংকের চেকের লেখা ও পড়া হয় – MICR পদ্ধতিতে।

অাউটপুট ইউনিট:
কোনো কিছু প্রক্রিয়াকরণের পর যে সকল যন্ত্রের সাহায্যে ফল পাওয়া যায়, সে সকল যন্ত্রকে বলা হয় – অাউটপুট ডিভাইস।

মনিটর :

টেলিভিশনের মতো দেখতে কম্পিউটার ব্যবস্থার অংশটিকে বলা হয় – মনিটর।
মনিটরের কাজ হলো – ছবি ও লেখা দেখানো।
সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত অাউটপুট ডিভাইস – মনিটর।
মনিটর সাধারণত হয় থাকে – কিন ধরণের। যথা :
ক. সিঅারটি মনিটর
খ. এলসিডি মনিটর
গ. এলইডি মনিটর
CRT এর পূর্ণরূপ হলো – Cathode Ray Tube.
LCD এর পূর্ণরূপ হলো – Liquid Cristal Display.
ক্যালকুলেটর কিংবা ঘড়িতে ব্যবহৃত হয় – এলসিডি মনিটর।
LED এর পূর্ণরূপ হলো – Light Emitting Diode.
মনিটরের পর্দায় কোনো ছবি, লেখা বা টক্সট প্রদর্শনের জন্য কম্পিউটার একটি ইন্টারফেস ব্যবহার করে, যাকে বলা হয় – ভিডিও কন্ট্রোলার।

কতগুলো জনপ্রিয় ভিডিও কন্ট্রোলার হলো :

ক. VGA (Video Graphics Array)
খ. SVGA ( Super Video Graphics Array)
গ. XGA (Extended Graphics Array)
কম্পিউটার তথ্য প্রদর্শনের ক্ষুদ্রতম একক হচ্ছে – পিক্সেল।
পিকচার ইলিমেন্টের এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে – পিক্সেল।
ডিসপ্লে পর্দারবা স্ক্রীনে প্রদর্শিত ছবির সূক্ষ্মতাকে বলে – রেজুলেশন।
রিফ্রেস রেট হলো – প্রিক্সেলের উজ্জ্বলতা ঠিক রাখার জন্য প্রতি সেকেন্ডে পিক্সেলগুলো কতবার রিচার্জ হয় তার সংখ্যা।
রিফ্রেশ রেটকে প্রকাশ করা হয় – হার্টজ এককে।

প্রিন্টার :

যে যন্ত্রের সাহায্যে কম্পিউটারে প্রাপ্ত ফলাফল কাগজে ছাপানো যায়, তাকে বলা কয় – প্রিন্টার।
প্রিন্টারের মান কি রকম হবে তা নির্ভর করে – প্রিন্টারের রেজুলেশনের উপর।
প্রিন্টারের রেজুলেশন পরিমাপের একক – ডিপিঅাই।
DPI এর পূর্ণরূপ হলো – Dots Per Inch.
প্রিন্টার হলো – একটি অফ লাইন ডিভাইস।
অায়তাকারে সাজানো কতগুলো বিন্দুকে বলে – ডট  ম্যাট্রিক্স।
ডট ম্যাট্রিক্সের গতি পরিমাপক একক হলো – CPS (Character Per Second)
সবচেয়ে দ্রুতগতির প্রিন্টার হলো – লেজার প্রিন্টার।
লেজার প্রিন্টারে কাগজে লেখা ফুটিয়ে তোলা হয় – লেজার রশ্মি এর সাহায্যে।
লেজার রশ্মি সাধারণ ব্যবহৃত হয় – ডেক্সটপ পাবলিশিং এর কাজে এবং অফিস অাদালতে।
লেজার প্রিন্টারকে বলা হয় – পেজ প্রিন্টার।

প্লটার :

প্লটার হলো – এক ধরণের প্রিন্টার।
প্লটার প্রিন্ট হয় – পেন এর সাহায্যে।
প্লটারকে ভাগ করা যায় – দুই ভাগে।
ক. ফ্লাট বেড প্লটার
খ. ড্রাম প্লটার

প্রজেকটর :

প্রজেক্টর হলো – একটি ইলেকট্রো অপটিক্যাল যন্ত্র
প্রজেক্টর এর মাধ্যমে – কম্পিউটারের কোন তথ্য, ছবি, ভিডিও বড় কোনো স্ক্রীনে উপস্থাপন করা যায়।

অন্যান্য :

ইনপুট- অাউটপুট ডিভাইসগুলো হলো – মডেম, টাচস্ক্রীন, ডিজিটাল ক্যামেরা, নেটওয়ার্ক কার্ড, হ্যান্ডসেট, ফ্যাক্স, অডিও বা সাউন্ড কার্ড, ডিভিডি/সিডি, মাল্টি-ফাংশন ডিভাইস।

কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশ:

কম্পিউটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট হচ্ছে – CPU
CPU এর পূর্ণরূপ হচ্ছে – Central Processing Unit
সিপিইউ বলতে বোঝানো হয় – মাইক্রোপ্রসেসরকে।
কম্পিউটারের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক বলা হয় – সিপিইউকে।
সিপিইউকে ভাগ করা যায় – তিন ভাগে। যথা:
ক. গানিতিক যুক্তি ইউনিট।
খ. নিয়ন্ত্রণ ইউনিট
গ. রেজিস্টার ইউনিট
ALU এর পূর্ণরূপ হচ্ছে – Arithmetic Logic Unit.
কম্পিউটারের ক্যালকুলেটরের স্বরূপ হলো – অ্যারেথমেটিক লজিক ইউনিট।
যে অংশের মাধ্যমে কম্পিউটারের সকল অংশ নিয়ন্ত্রণ হয় তাকে বলে – Control Unit.
ডেটা বা প্রোগাম সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত মাধ্যম বা ধারককে বলে – Memory।
কম্পিউটার সিস্টেমে ব্যবহৃত মেমোরিকে ভাগ করা যায় – তিন ভাগে।
ক. Primary Memory
খ. Secondary Memory
গ. Cache Memory
ডিস্কেটের অপর নাম – ফ্লপি ডিক্স।
ফ্লপি ডিক্স হলো – এক ধরণের সেকেন্ডারি মেমোরি, যা হার্ডডিক্সের চেয়ে অাকারে ছোট।
কম্পিউটারে প্রধান মেমোরি থাকে – মাইক্রোপ্রসেসর এবং সিপিইউ এর মাঝখানে।
কম্পিউটারের স্থায়ী স্মৃতিকে বলে – Read Only Memory
কম্পিউটারের অস্থায়ী স্মৃতিকে বলে – Random Access Memory.
CD এর পূর্ণরূপ – Compact Disc.
DVD এর পূর্ণরূপ – Digital Video Disc.
ক্যাশ মেমোরি – কম্পিউটারের কাজের দ্রুততা অানায়নের জন্য প্রসেসর ও প্রধান মেমোরির মধ্যবর্তী স্থানে স্থাপিত বিশেষ ধরণের মেমোরি।

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ময়মনসিংহের ভাষা।

ভূতের গল্প।

খুব সহজে Noun, Adjective, Verb & Adverb চেনার উপায়